২০২৬ সালের পর পরবর্তী আরো তিন বছর বাংলাদেশ ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন-ডব্লিউটিও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এই সময়ের মধ্য বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্ত্যব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে টিপু মুনশি এমপি’র সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাণিজ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে যোগাযোগ, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে বাংলাদেশ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কিছূ চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রকে পাশে থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। সরকার বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বিভিন্ন সেবা ও পরিসেবা অনুমোদনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এসময় রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সরকার প্রধানদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।

এসময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রীকে আহবান জানান।

বৈঠকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্বারোপ করছে। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।

অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলির সাথে বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিখাতসহ অন্যান্য সেক্টরে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য দেশটির প্রতি আহবান জানান। এসময় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পণ্য বৈচিত্রকরণে সহযোগিতা ছাড়াও বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।