নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে ১১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লেনদেনের ওপর কমিশন আয় থেকে ২৩৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা কর জমা দেওয়া হয়। আগের অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব জমার পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি ১২ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরে সেপ্টেম্বর মাসে এনবিআরকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব জমা দেয় ডিএসই। ওই মাসে এনবিআরকে জমা দেওয়া হয় ৪০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর সবচেয়ে কম রাজস্ব জমা দেয় ফেব্রুয়ারি মাসে। এর পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, দুই ধরনের শেয়ার কেনাবেচা থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে থাকে। প্রথমত, কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচা আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচায় ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন আয়ের ওপর আরোপিত কর।
গত ১০ মাসে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বেচাকেনার আয় থেকে রাজস্ব দেওয়া হয় ৭৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ছিল ৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ খাত থেকে চলতি অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে ১১ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। অর্থাৎ এ সময়ে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বেচাকেনা বেড়েছে।
অন্যদিকে একই সময়সীমায় শেয়ার বেচাকেনার ওপর কমিশন থেকে কর হিসেবে এনবিআর পেয়েছে ১৫৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৮৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বছর ব্যবধানে ডিএসই এ খাত থেকে রাজস্ব আগের বছরের চেয়ে ১২৭ কোটি টাকা বা ৪৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ডিএসইতে শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্য সদ্য সমাপ্ত মাস অর্থাৎ এপ্রিল মাসের হিসাব বলছে, ওই মাসে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বেচাকেনায় আয় থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর আগের বছর একই সময়ে এ খাত থেকে রাজস্ব জমা দেওয়া হয়েছিল ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অন্যদিকে এপ্রিলে শেয়ার বেচাকেনার ওপর প্রাপ্ত কমিশন থেকে আয় কমেছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এপ্রিলে শেয়ার বেচাকেনার কমিশনের ওপর কর আদায় হয়েছে ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা আগের বছরের এপ্রিলে ছিল ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। গত এপ্রিল ডিএসইতে ১০ হাজার ২৯৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।
Posted ৭:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy