নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বীমাসম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলোকে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। রোববার এসব নির্দেশনাসম্বলিত পরিপত্র দেশের সব লাইফ ও নন লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, কোম্পানি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ), মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে, জনসাধারণের জন্য সহজবোধ্য ভাষায় বীমা সম্পর্কে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বীমাগ্রহীতাদের অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে তাদের সচেতন ও শিক্ষিত করতে বিজ্ঞাপন প্রচারের তাগিদ দেয়া হয়েছে ওই পরিপত্রে। প্রত্যেক বীমা কোম্পানিকে ‘প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন’ খাতে বরাদ্দকৃত সকল অর্থ বীমার সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণার জন্য আবশ্যিকভাবে ব্যয় করার বাধ্যবাধকতাও দেয়া হয়েছে পরিপত্রে। বীমা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত এসব কার্যক্রম কোম্পানিগুলোকে ভবিষ্যতে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে আইডিআরএ’র ওই পরিপত্রে।
সম্প্রতি জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে বীমার প্রতি জনগণের অনীহা দূর করতে এ সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রেক্ষিতে বীমার আর্থিক উপকারিতা ও সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে কোম্পানিগুলোকে আট দফা কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা জারি করে আইডিআরএ।
আইডিআরএ’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, (ক) বীমার মৌলিক ধারণা এবং বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিজ্ঞাপন, ব্রশিউর, ফ্লাইয়ার, ভিডিও ইত্যাদি প্রস্তুত করে বেতার, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে প্রচার করা;
(খ)‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এ প্রতিপাদ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সৃজনশীল বিজ্ঞাপন/ ভিডিও প্রস্তুত করে প্রিন্ট/ ইলেকট্রনিক/ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ/ প্রচার করা। এ ক্ষেত্রে ‘বীমা সঞ্চয় নয় বরং সম্পদ ও মানুষের জীবন জীবিকার ঝুঁকির বিপরীতে একমাত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা’ এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে;
(গ) বীমাগ্রহীতাদের অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে তাদের সচেতন ও শিক্ষিত করার জন্য বেতার/ টেলিভিশন/ সংবাদপত্র/ সোস্যাল মিডিয়ায় অডিও/ ভিডিও ফরম্যাটে প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(ঘ)প্রত্যেক বীমাকারি তার পরিকল্প সম্পর্কে সাধারণ জনগণের জন্য সহজবোধ্য ভাষায় ব্রশিউর/ বুকলেট/ ই-নিউজলেটার প্রস্তুত করে তা নিয়মিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়াসহ অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে বীমাগ্রহীতাকে অবহিত করা;
ঙ) বীমা দাবি নিষ্পত্তির বিভিন্ন ধাপ ব্রশিউর/ বুকলেট/ প্রচারপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
চ) প্রত্যেক বীমাকারীকে ‘প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন’ খাতে বরাদ্দকৃত সকল অর্থ বীমার সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণার জন্য আবশ্যিকভাবে ব্যয় করতে হবে। এ খাতের অর্থ অন্য কোন কাজে/ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না;
ছ) সকল বীমাকারীকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীমা সচেতনতামূলক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রমাণকসহ একটি প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে হবে;
জ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বীমাকারিকে ভবিষ্যতে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বীমা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত কার্যক্রমকে একটি অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
বীমায় সচেতনতা বাড়াতে আইডিআরএ’র গুচ্ছ নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হক ব্যংক বীমা অর্থনীতিকে বলেন,
আইডিআরএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী এই মুহূর্তে বীমা সচেতনতা বাড়াতে আমরা বীমা সেবা পক্ষ পালন করছি। সেবাপক্ষকে কেন্দ্র করে আমরা বেশ কিছু বীমা সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠান করেছি। টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। আমরা ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবীমার সুফল সম্পর্কে লিফলেট তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতরণ করেছি। আমাদের অফিসগুলোতেও বীমা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
Posted ১:৩৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy