নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
অফশোর ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে হিসাব খুলে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আমানত রাখার সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী ও স্থানীয় গ্রাহক এই আমানত রাখতে পারবেন। এর বিপরীতে মিলবে ৭ থেকে প্রায় ৯ শতাংশ সুদ। এর ফলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বিপরীতে কমবে ডলার সংকট।
অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ও বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব করা হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং আমানত হিসাবে মুদ্রা ভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সাথে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। এই আমানত হিসাবে ৩ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদী আমানতের ওপর রেফারেন্স রেটসহ ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১ বছর থেকে ৩ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ পাবে গ্রাহকরা।
বর্তমানে রেফারেন্স রেটের হার সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদী অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের ওপর মিলবে ৭ শতাংশ সুদ, ১ বছর থেকে ৩ বছর মেয়াদে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ মিলবে। অথচ বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের উপর ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ দেয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশি ব্যক্তি, বিদেশি নাগরিক, বিদেশে নিবন্ধিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আলোচ্য আমানত হিসাব পরিচালনার সুযোগ পাবে। অনিবাসীদের পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং নিবাসী ব্যক্তি ও বিশেষায়িত অঞ্চলে কার্যরত টাইপ-এ, টাইপ-বি ও টাইপ-সি শিল্পসহ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাব খোলার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশি পক্ষের সাথে হিসাবধারীর যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। হিসাবধারী বিদেশি পক্ষের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এবং সে অনুযায়ী তহবিল ব্যবহার হবে। সকল ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স আলোচ্য হিসাবে জমা হবে।
Posted ৭:৫০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy