নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
চারটি ইস্যুতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। গতকাল সোমবার বিকাল তিনটায় বিএসইসির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে সকল কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, চারটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএসইসির সাথে বৈঠক করেছে আইএমএফ। ইস্যুগুলো হলো- বর্তমান মার্কেটের অবস্থা, নতুন আইন-কানুন,গ্রিন বন্ড ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিসহ চারটি ইস্যুতে আইএমএফ প্রতিনিধি দল আমাদের সাথে বৈঠক করেছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদেরকে ব্রিফ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা চেয়েছে, তারা আশ্বাস দিয়েছেন। সব মিলিলে খুব সুন্দর বৈঠক হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, একবছর আগে এই প্রতিনিধি দল আমাদের সাথে বৈঠক করেছিলো, সেই বৈঠকের পর থেকে আমাদের কী উন্নতি হয়েছে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা আমাদের উন্নতির বিষয়ে তাদেরকে বলেছি।
তিনি বলেন, কিছু বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। বিশেষ করে একটি বড় ফান্ড সাপোর্টও চাওয়া হয়েছে। বলেছি এই সহযোগিতা পেলে আমাদের আগামীর কাজগুলো করতে অনেক সহজ হবে।
এমন একটি সময় আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক করছে, যেই সময়ে দেশে ডলার সংকট চলছে। সংকট দূর হওয়ার পরিবর্তে বরং বাড়ছে। ডলার সংকটকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে। ঋণ পেতে চাইছে দেশ, অন্যদিকে ঋণ পেতে নানা শর্তও জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঋণের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া শর্ত খতিয়ে দেখতে পরামর্শদাতা সংস্থাটির বিশেষ দল গত ৪ অক্টোবর ঢাকায় আসে। এই সময়ে তারা অংশীজনদের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করবে। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো- আর্থিক খাতের স্থায়িত্ব, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, ব্যাংক খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারভিত্তিক রেটে লেনদেন, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন, টেকসই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, বন্ড মার্কেট, ডলার পরিস্থিতের অগ্রগতি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করবে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি। বর্ধিত তহবিল সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি ডলার এবং রেজিলিয়্যান্স অ্যান্ড সানসেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়ার পরে মোট ৪২ মাসে ৭ কিস্তিতে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের গড় সুদ হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। আর গত বছরের ২৪ জুলাই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ।
Posted ১:৪১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy