নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আমরা আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারি। দুই দেশের জনগণ এবং উভয় দেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ পরামর্শ সভা হতে পারে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় সহজেই এক দেশে অন্য দেশে সহজেই পণ্য পরিবহন সম্ভব।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছ।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশের গুণগত উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং ঢাকা মেট্রো রেলের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে এ সহযোগিতা আমরা প্রত্যাশা করছি। এ খাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে। দুই দেশের মধ্যে এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি সহযোগিতাও বিনিময় হতে পারে। আশা করি, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের পরিধি আরও বাড়বে।
এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলেও জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্ম সচিব অন্দ্রিয় দ্রং, নীলুফা আক্তার ও ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব শিমমুরা কাৎসুমি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy