নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। এ খবরে দিনাজপুরের হিলিতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
এদিকে দাম বাড়ায় ক্রেতা সমাগম কমেছে হিলির পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
রোববার (২০ আগস্ট) হিলির খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিন আগেও ভারতীয় যে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো, বর্তমানে সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। হঠাৎ করে দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
হিলির খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, ভারতীয় শুল্ক বাড়ার খবরে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরাও বেশি দামে কিনছি, তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানান, হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজের ওপর শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়বে। এ কারণে বন্দরের ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়বেন। আমাদের অনেক পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করা আছে। সেই পেঁয়াজ দেশে এলে দাম অনেকটাই স্বাভাবিক থাকত। আমরা চাই, দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকের মাধ্যমে এর একটি সমাধান করুক।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক খুব শিগগিরই কার্যকর হবে বলে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়েছে।
যা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। গত কয়েক মাসে রপ্তানি অনেক বাড়ায় ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান দামে লাগাম টানতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসে ৬ দশমিক ৩৮ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ওই সময় ৫ দশমিক ০৪ টন পেঁয়াজের চালান করেছিলেন দেশটির রপ্তানিকারকরা।
Posted ১:৪৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ আগস্ট ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy