কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রতিদিন-ওয়ালটন বিশ্বকাপ ফুটবল কুইজ (প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব) বিজয়ীদের হাতে রোববার (৫ আগস্ট) পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন অফিসে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনামুল হক শামীম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ওয়ালটন হাইকেট ইন্ডাস্ট্রির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শোয়েব হোসেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স) মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে লাখো মানুষ অংশ নেয়। সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৩৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারের মধ্যে ছিল ওয়ালটনের সৌজন্যে অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার, স্মার্টফোন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
প্রধান অতিথি এনামুল হক শামীম বলেন, এ ধরনের আয়োজন খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক। তাঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগঠকদের পুরস্কৃত করেছেন। তিনি খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন খেলাটা ফুটবলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তখন মেয়েরা ফুটবল খেলবে ভাবতেই পারিনি। আজ মেয়ে ফুটবলাররা সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয়। ক্রিকেটে আজ সাকিব আল হাসান, মাশরাফি, তাসকিনরা বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও খেলাধুলার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়ালটন আমাদের দেশের পণ্য। তারাও খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
তিনি বলেন, সব দিক দিয়ে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। সাবমেরিন কেবল দিয়ে প্রত্যন্ত চরেও বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। শরীয়তপুরের সবজি এখন ইউরোপের বাজারে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। ১৪ বছর আগে নদী ভাঙন ছিল সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর, এখন কমে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ব্যতিক্রমধর্মী সরকারপ্রধান। তিনি মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে যেমন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান, আবার আমার বিধমা মা, বয়স্ক বাবা, প্রতিবন্ধী ভাইবোন, এমনকি মাতৃত্বকালীন ভাতা দিয়ে যে সন্তান মাতৃগর্ভে থাকে তারও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন। গৃহহীনদের ঘর দিয়েছেন। এখন সবার হাতে মোবাইল, ঘরে ঘরে ল্যাপটপ, কম্পিউটার।
কুইজে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশ্বকাপের মতো সব আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আয়োজন উপলক্ষে কুইজের আয়োজন করে আসছে। আমার কাছে ভালো লাগে যখন প্রত্যন্ত গ্রামের একজন কুইজে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন। আপনারা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আছেন বলেই কুইজে অংশগ্রহণ করেন। খেলাধুলা, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সব দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে চমক। আমাদের ক্রীড়াঙ্গন বদলে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের যাত্রায় আমরা সব সময় সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করেছি। আগামীতেও করব। ওয়ালটন বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করে চমক সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের কুইজ আয়োজনে সব সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে থাকায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। পদ্মা সেতুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালে মনেই হয় না এটা বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা তৈরি করার কথা বলতেন। তার কন্যা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা তৈরি করার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
ওয়ালটন হাইকেট ইন্ডাস্ট্রির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শোয়েব হোসেন বলেন, ওয়ালটন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন দুটিই বাংলাদেশে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশনার দিক দিয়ে শীর্ষে এবং ওয়ালটন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করে। দুটি সেরা প্রতিষ্ঠান যদি একসঙ্গে থেকে কোনো কাজ করে, অবশ্যই সেটা ভালো হবে। আমরা শুরু থেকে এ ধরনের আয়োজনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আছি। তারা যতদিন চাইবে, আমরা সঙ্গে থাকব।
