নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ৮ মে (সোমবার) কোম্পানিটির আইপিওর শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা করা হয়।
সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১৮ এপ্রিল ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রো-রাটার ভিত্তিতে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৩৬টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৭২টি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন। কোম্পানিটি ১ কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে। ওই ১৬ কোটি টাকার বিপরীতে ৩০৫ কোটি টাকার আবেদন করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে প্রতিটি শয়ারের বিপরীতে ১৯.০৭ গুণ আবেদন বেশি পড়ে।
জানা গেছে, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ গত ৩ থেকে ৮ এপ্রিল কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন করে। এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৫৩তম কমিশন সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ১ কোটি ৬০ হাজার শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা তুলবে। এই জন্য প্রতিটি শেয়ারের অফার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, এফডিআর বিনিয়োগ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।
২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির একচ্যুয়ারাল ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুযায়ী মোট উদ্বৃত্ত ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পূর্বে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
Posted ১:২৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩
desharthonity.com | Rina Sristy