সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় বীমা নীতি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

জাতীয় বীমা নীতি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে

২০১৪ সালে প্রণীত জাতীয় বীমা নীতি সংশোধন ও হালনাগাদ করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংশোধিত জাতীয় বীমা নীতি শিগগিরই চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

ব্যাংক বীমা অর্থনীতিকে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রণীত জাতীয় বীমা নীতি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার মেয়াদ ২০২১ সালেই শেষ হয়ে গেছে। এখন এই বীমা নীতিতে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন এনে যুগোপযোগী করার কাজ চলছে।

লক্ষ্য পূরণে জাতীয় বীমা নীতিতে স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেক লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলেও, বেশিরভাগ লক্ষ্যই অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। সূত্র বলছে, গত বছরেই জাতীয় বীমা নীতির অবাস্তবায়িত কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের সময়সীমা পুনঃনির্ধারণপূর্বক সাল পরিবর্তনের সংশোধিত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় আইডিআরএ। একইসঙ্গে কিছু কর্মপরিকল্পনা যুগোপযোগী না হওয়ায় সংশোধনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়।

বীমা শিল্পের সঠিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নে ২০১৪ সালে জাতীয় বীমা নীতি প্রণীত হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল বীমা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উন্নয়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায়, বীমা সেবা পরিচালনায় পেশাদারিত্ব সৃষ্টি এবং আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ। বীমা খাতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে ৫০ দফা নীতিগত উদ্দেশ্য রেখে প্রণীত হয় বীমা নীতি।

২০২১ সালের মধ্যে কর্মকৌশল বাস্তবায়নে নেয়া হয় স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। বিভিন্ন বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন যার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এসব কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। ফলে নতুন করে সময় বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয় ২০২১ সালের মেয়াদ শেষে।

জাতীয় বীমা নীতি সংশোধনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আইডিআরএ’র সদস্য (আইন) মো. দলিল উদ্দিন ব্যাংক বীমা অর্থনীতিকে বলেন, বীমা নীতির অনেকগুলো বিষয় সংশোধন ও হালনাগাদের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

ইসলামিক ইন্সুরেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরির দিক নির্দেশনা রেখে ২০১৪ সালের ২ জুন জাতীয় বীমা নীতির খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। ১১ জুন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থমন্ত্রণালয়। তবে মেয়াদ শেষ হলেও ইসলামিক ইন্স্যুরেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান এখনো চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

৫০ টি অ্যাকশন প্ল্যানসহ বীমাখাতে দক্ষ লোকবল তৈরী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রুপ বীমা চালু করা, বীমা সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বেসরকারি খাতে পেনশন স্কিম চালু করা, প্রমিত আচরণবিধি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও জাতীয় বীমা দিবস চালু করার দিকনির্দেশনা ছিল জাতীয় বীমা নীতিতে।

বীমাসংক্রান্ত সব সমস্যাও উঠে এসেছিল জাতীয় বীমা নীতিতে। কীভাবে সমাধান হবে সেটিও বলা ছিল।

সার্বিকভাবে বীমা নীতির উদ্দেশ্য ছিল, গতানুগতিক ধারা থেকে বীমা শিল্পকে বের করে যুগোপযোগী নিয়মতান্ত্রিক ধারায় চালিত করার প্রয়াসে সুষ্ঠু নীতিগত কাঠামোয় আনয়ন করে বীমাকারীর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায়, বীমা শিল্পে পেশাদারিত্ব সৃষ্টি এবং অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি প্রতিরোধ করে বীমা খাতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী দিকনির্দেশনার মাধ্যমে দেশের সব স্তরের মানুষকে তথা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিকে বীমার আওতায় নিয়ে এসে বীমা সেবা সহজপ্রাপ্য ও বিস্তৃত করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বীমার সুফল নিশ্চিত করা এবং ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বীমা খাতে অবদান উল্লেখযোগ্য হারে (সম্ভাব্য ৪ শতাংশ) উন্নীত করা। তবে দীর্ঘ মেয়াদেও জিডিপিতে বীমার অবদান বাড়ানোর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com