সোমবার ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট

আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলার সংকট। সম্প্রতি সার্বিক রপ্তানি ও ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছিল। এরপর ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পাশাপাশি আমদানির চাপে আবারও কমতে শুরু করেছে অর্থনীতির অন্যতম সূচকটি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত এখন কমে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদের তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৮ কোটি মার্কিন ডলারে। একই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। গত বছরের এই সময়ে মোট রিজার্ভের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল (৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১১৮ কোটি ডলার)।

ঈদের আগে ৮ এপ্রিল বিপিএম–৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৩৯ কোটি ডলার। এ হিসেবে গত ১০ দিনে বিপিএম-৬ এর রিজার্ভ কমেছে ২১১ মিলিয়ন বা দুই কোটি ১১ লাখ ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

তবে, বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা আইএমএফের কাছে প্রকাশ করতে হয়। এছাড়া, আইএমএফের ঋণচুক্তি অনুসারে প্রতি তিন মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণের হিসাব দিতে হয়। তবে, এ তথ্য প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে আছে। প্রতি মাসে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

প্রকৃত রিজার্ভ হলো দায়হীন রিজার্ভ। প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব কীভাবে নির্ণয় করতে হবে, সূত্রও ঋণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছিল আইএমএফ। সংস্থাটি ঋণের শর্ত হিসেবে নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রকৃত রিজার্ভ কী পরিমাণে থাকতে হবে, তা ঠিক করে দেয়। সে অনুযায়ী প্রতি তিন মাস পরপর আইএমএফের শর্ত মেনে বাংলাদেশকে রিজার্ভ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে।

আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্ত অনুযায়ী গত মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা এক হাজার ৯২৬ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই সময় প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ১৫০০ কোটি ডলারের কম।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

desharthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

ক্যালেন্ডার

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
গোলাম ফারুক
Contact

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।

Phone: 01759881611

E-mail: editor@desharthonity.com